টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৩২ রান করে শ্রীলঙ্কা 2

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৩২ রান করে শ্রীলঙ্কা

শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। ৩ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুসল পেরেরা। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা ফার্নান্দো পাল্টা আক্রমণে দূর করে দেন সব চাপ। ইংল্যান্ডের গতিময় পেসার জফরা আর্চারকে হাঁকান দুই ছক্কা। 
 
মার্ক উডের বাউন্সারে আপারকাট করে থার্ড ম্যানে ধরা পড়ে শেষ হয় ফার্নান্দোর পথ চলা। তার বিদায়ের পর কমে রানের গতি। সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগোতে থাকেন কুসল মেন্ডিস ও ম্যাথিউস। 
 
কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ৭১ রানের জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। পরের বলে ফিরিয়ে দেন দলে ফেরা জিবন মেন্ডিসকে। পরপর দুই বলে উইকেট হারিয়ে আরও সাবধানী হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসে তাদের সবচেয়ে মন্থর ফিফটি আসে এর পরেই। 
  
ষষ্ঠ উইকেটে পঞ্চাশ ছুঁতে ৭৩ বলে খেলেন ম্যাথিউস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। বোলিংয়ে ফিরে ডি সিলভাকে ফিরিয়ে ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন আর্চার। জ্বলে ওঠার আগেই থিসারা পেরেরাকেও বিদায় করেন তিনি। 
 
ইসুরু উদানাকে ফেরানোর পর দারুণ এক ইয়র্কারে লাসিথ মালিঙ্গাকে বোল্ড করে দেন উড। ৪০ রানে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। আর্চার ৫২ রানে নেন ৩ উইকেট।  
 
শেষের দিকে নিয়মিত উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ২৩২ পর্যন্ত যায় ম্যাথিউসের দৃঢ়তায়। ৮৪ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে। তার ১১৫ বলের ইনিংস ইনিংস গড়া ৫ চার ও এক ছক্কায়।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৩২/৯ (করুনারত্নে ১, কুসল পেরেরা ২, ফার্নান্দো ৪৯, কুসল মেন্ডিস ৪৬, ম্যাথিউস ৮৫*, জিবন মেন্ডিস ০, ডি সিলভা ২৯, থিসারা ২, উদানা ৬, মালিঙ্গা ১, প্রদিপ ১*; ওকস ৫-০-২২-১, আর্চার ১০-২-৫২-৩, উড ৮-০-৪০-৩, স্টোকস ৫-০-১৬-০, মইন ১০-০-৪০-০, রশিদ ১০-০-৪৫-২, রুট ২-০-১৩-০)